بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِِ
৪ জানুয়ারী, ২০১৯
আর্থিক কুরবানীর প্রকৃত তাৎপর্য – ওয়াকফে জাদীদ – ২০১৯ বর্ষের ঘোষণা
বায়তুল ফুতুহ, লন্ডন
  • সারমর্ম
    এই জুমু’আর খুতবার সারাংশটিতে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তার দায়ভার আহ্‌মদীয়া বাংলা টীম গ্রহণ করছে।

    আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের বিশ্ব-প্রধান ও পঞ্চম খলীফাতুল মসীহ্‌ হযরত মির্যা মসরূর আহমদ (আই.) গত ৪ঠা জানুয়ারী, ২০১৯ লন্ডনের বায়তুল ফুতুহ মসজিদে প্রদত্ত ২০১৯ সালের প্রথম জুমুআর খুতবায় তিনি (আই.) সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং একই সাথে রীতি আনুযায়ী ওয়াক্‌ফে জাদীদ-এর ৬২তম নতুন বছরের ঘোষণা প্রদান করেন। এছাড়া তিনি (আই.) একজন আদর্শ আহমদী হবার উপায় ও করণীয়, ওয়াক্‌ফে জাদীদের তাৎপর্য, আর্থিক কুরবানীর গুরুত্ব ও কল্যাণ লাভের উপায়, ওয়াক্‌ফে জাদীদে চাঁদায় ব্যক্তিগত কল্যাণ লাভের ঘটনা, ওয়াক্‌ফে জাদীদের বিগত বছরের প্রতিবেদন এবং নতুন বছরের তুলনামূলক পরিসংখ্যান আলোকপাত করেন।

    হুযূর (আই.) বলেন, আজ ২০১৯ সালের প্রথম জুমুআ, এজন্য আমি প্রথমে সারা পৃথিবীর সকল আহমদীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি; আল্লাহ্ তা’লা এ বছরটি আমাদের জন্য সবদিক থেকে আশিসময় করুন। এ বছরটি আমাদের জন্য অগণিত সাফল্য বয়ে নিয়ে আসুক।

    হুযূর বলেন, আমাদের এ কথাও স্মরণ রাখতে হবে, কেবল প্রথাগতভাবে শুভেচ্ছা জানানো সত্যিকার অর্থে আশিস লাভের কারণ হয় না। নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন তখনই কার্যকর প্রমাণিত হবে যখন আমরা এই প্রতিজ্ঞা করব- আল্লাহ্ তা’লা যেহেতু আমাদেরকে আরেকটি বছরের নতুন সূর্য দেখিয়েছেন, তাই আমরা এবছর নিজেদের ভেতরকার সকল দুর্বলতা ও অন্ধকার দূর করার সর্বাত্মক চেষ্টা করব; বিগত বছর যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল সেগুলো দূর করার অঙ্গীকার করব। নিজেদের মধ্যে পবিত্র পরিবর্তন সৃষ্টির প্রতিজ্ঞা করে আমরা হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর কাছে বয়আতের যে অঙ্গীকার করেছি, সেই অঙ্গীকার পালনের জন্য পূর্বের চেয়ে অধিক সচেষ্ট হব।

    একজন আহমদীর মান কীরূপ হওয়া উচিত সে সম্পর্কে একদা হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) বলেন, “বয়আত করে একজন মানুষের শুধু এতটুকু বিশ্বাস করাই যথেষ্ট নয় যে, এই জামাত সত্য; আর এটুকু মানলেই সে কল্যাণ লাভ করবে। যেহেতু এই জামাতভুক্ত হয়েছ, তাই পবিত্র ও মুত্তাকী হওয়ার চেষ্টা কর। প্রত্যেক পাপ থেকে আত্মরক্ষা কর, দিবারাত্র ক্রন্দনে রত থাক, মুখের ভাষাকে নম্র রাখ, ক্ষমা-প্রার্থনাকে নিজের অভ্যাসে পরিণত কর, নামাযে দোয়া কর। খোদা তা’লা শুধু মুখের কথায় খুশি হন না। আল্লাহ্ তা’লা পবিত্র কুরআনে ঈমানের পাশাপাশি সৎকর্ম সাধনের কথাও বলেছেন। আমলে সালেহ হল সেই কাজ, যাতে লেশমাত্রও ত্রুটি থাকে না।”

    হুযূর বলেন, আমাদের আদর্শ ও করণীয় এরূপ হওয়া উচিত। আমরা যদি এই মান অর্জনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করি, তবেই এ বছরটি আমাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। আমাদের ব্যক্তি জীবনে এবং সমষ্টিগতভাবে জামাতের জন্য এবছরটি অগণিত কল্যাণ বয়ে আনবে এটিই কাম্য।

    এরপর হুযূর খুতবার অপর বিষয়বস্তুর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,

    আপনারা সবাই জানেন, জানুয়ারি মাস থেকে ওয়াক্‌ফে জাদীদের নতুন বছর শুরু হয় এবং রীতি অনুসারে জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় শুক্রবারে তা ঘোষণা করা হয়। আল্লাহ্ তা’লার কৃপায় আর্থিক কুরবানী মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর জামাতের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তা’লা বারংবার আল্লাহ্‌র রাস্তায় খরচ করার প্রতি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। এটি এজন্য করেন নি যে, তিনি আমাদের সম্পদের মুখাপেক্ষী; বরং এর কারণ হল, এতে আমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত, আর এর ফলে সমষ্টিগতভাবে জামাত লাভবান হয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তা’লা বলেন, ‘তোমরা নিজ সাধ্যানুসারে আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন কর, এবং শোন ও আনুগত্য কর আর খরচ কর, এটি তোমাদের জন্যই কল্যাণকর। আর যাদেরকে মনের কৃপণতা থেকে রক্ষা করা হয়, তারাই প্রকৃতপক্ষে সফলকাম। যদি তোমরা আল্লাহ্কে উত্তম ঋণ প্রদান কর তবে তিনি তা তোমাদেরকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ্ অত্যন্ত গুণগ্রাহী, পরম সহিষ্ণু।’

    মহানবী (সা.) বলেছেন,

    ‘কার্পণ্য থেকে মুক্ত থাকো, কেননা এটিই পূর্ববর্তী জাতিগুলোর ধ্বংসের কারণ হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি কেবল অর্ধেকটা খেজুর দান করার সাধ্য থাকে, তবে তা দান করেই আগুন থেকে আত্মরক্ষা করো।’

    হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.) বলেন,

    ‘তোমাদের জন্য এটি সম্ভবপর নয় যে, সম্পদের প্রতিও ভালোবাসা রাখবে আর খোদাকেও ভালোবাসবে; কেবল একটিকেই ভালোবাসা সম্ভব। সৌভাগ্যবান সে, যে খোদাকে ভালোবাসে। যদি তোমাদের মধ্যে কেউ খোদা তা’লাকে ভালোবেসে তাঁর পথে সম্পদ খরচ করে, তাহলে আমি বিশ্বাস করি, তার সম্পদ অন্যদের তুলনায় বেশি বৃদ্ধি পাবে। কেননা সম্পদ আপনা-আপনি আসে না, বরং খোদার নির্দেশে আসে।’

    তিনি (আ.) আরও বলেন, ‘তোমরা মনে করো না যে, খোদা তা’লার পথে সম্পদ খরচ করে বা অন্য কোনভাবে সেবা করে তোমরা খোদা তা’লা ও তাঁর প্রেরিত পুরুষের প্রতি কোন প্রকার অনুগ্রহ করছ। বরং এটি তাঁর অপার অনুগ্রহ যে, তিনি তোমাদেরকে এ কাজের সুযোগ দিয়েছেন। নিশ্চিত জেনো, এটি ঐশী কাজ আর তোমাদের সেবা কেবল তোমাদেরই মঙ্গলার্থে।’

    হুযূর (আই.) বলেন, আল্লাহ্‌র কৃপায় আহমদীরা কুরবানী ও সেবার এই বিষয়টি খুব ভালভাবেই অনুধাবন করেন এবং পরম উৎসাহ নিয়ে এতে অংশ নেন। পুরনো আহমদীরাই শুধু নয়, বরং নবাগতরাও বয়আত গ্রহণের পর এর গুরুত্ব খুব ভালোভাবে বুঝতে পারেন, এমনকি দারিদ্র সত্ত্বেও আর্থিক কুরবানীর ক্ষেত্রে তারা পিছপা হন না। আর কেউ কেউ তো এক্ষেত্রে সেই মানে উন্নীত যার প্রশংসা স্বয়ং মসীহ্ মওউদ (আ.) নিজ যুগে তাঁর কতক সাহাবীর বেলায় করেছেন।

    এরপর হুযূর (আই.) বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত এবং দূর-দূরান্তে বসবাসকারী নবাগত আহমদীদের কতিপয় ঘটনা তুলে ধরেন যার মাধ্যমে জামাতের সদস্যদের কুরবানীর উন্নত মান এবং আল্লাহ্ তা’লার প্রতিশ্রুতি অনুসারে তাদের প্রতি খোদার অসাধারণ কৃপার চিত্র উজ্জ্বলভাবে বিকশিত হয়।

    ঘানার এক আহমদী পড়াশোনার ফি প্রদানের জন্য ব্যাংক থেকে বেশ বড় একটি অংক ঋণ নেন, প্রতিমাসে তার বেতনের ৪০ শতাংশ সেই ঋণ পরিশোধেই চলে যেত। আর্থিক অসঙ্গতি সত্ত্বেও তিনি যথারীতি পুরো আয়ের ওপর চাঁদা প্রদান করতেন। এমতাবস্থায় একদিন মসজিদে গেলে তাকে ওয়াক্‌ফে জাদীদের চাঁদার কথা স্মরণ করানো হয়। তার কাছে সেই মুহূর্তে তার ওয়াদার সমপরিমাণ অর্থ ছিল, এবং তিনি তা পরিশোধও করেন। কিন্তু এরপর তার কাছে মাসের বাকী দিনগুলোতে কর্মস্থলে যাওয়ার মত পথ খরচও ছিল না। কিন্তু বাসায় ফেরার পথেই তিনি তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসার একটি ক্ষুদেবার্তা পান, যার পরিমাণ ছিল প্রদত্ত চাঁদার পাঁচগুণ বেশি। তিনি ভেবেছিলেন, এটি হয়তো ভুলে এসেছে; কিন্তু পরে জানতে পারেন এটি সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দেয়া হয়েছে। এর ফলে তিনি বিশ্বাস ও নিষ্ঠায় আরও সমৃদ্ধ হন।

    বুর্কিনাফাঁসোর এক নবাগত খাদেম, যিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন, এমনকি মানসিক অবসাদ ও হতাশার কারণে আত্মহত্যার চিন্তাও তার মধ্যে বাসা বেঁধেছিল, চাঁদা দেয়ার কারণে তিনি সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাভ করেন আর তার ঈমান আরো সৃদৃঢ় হয়।

    যুক্তরাজ্যের এক আহমদী তাহরিকে জাদীদের জন্য বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি চাঁদা দেয়ার ওয়াদা করলেও তার তখন ততটা সঙ্গতি ছিল না। এজন্য তিনি দোয়া করতে থাকেন, আর আশ্চর্যজনকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে কর বেশি প্রদানের কারণ দেখিয়ে অর্থ ফেরত দেয়া হয়। পরবর্তীতে ওয়াক্‌ফে জাদীদের চাঁদার বেলাতেও তিনি অনুরূপ করেন, আর এবারও আশ্চর্যজনকভাবে চাঁদার অর্থের যোগাড় হয়ে যায়। এসব ঘটনা তার ঈমানকে বহুগুণে দৃঢ় করে।

    বুর্কিনাফাঁসোতে এক নতুন বয়আতকারী চাঁদা দেয়ায় তার অ-আহমদী পিতা ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে কিছু জমি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ বছর তিনি সেই জমিতে চাষ করলে অনেক বেশি ফসল হয়, অথচ অন্য সবার ফসল অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন তার পিতা নিজেই তাকে বলেন, তোমার জামাত সত্য, তুমি এতে অবিচল থাক; আমি সমাজের কারণে এ জামাত গ্রহণ করতে অপারগ।

    ভারতের একটি জামাতে একজন যুবক ওয়াক্‌ফে জাদীদের তাহরিক শুনে ওয়াদা করেন ও সাথে সাথে তা পরিশোধ করে দেন। সেদিনই তিনি একটি বড় অংকের অর্থ পাওয়ার খবর পান, যা তার পাওনা হলেও গত আট বছর ধরে তিনি তা পাচ্ছিলেন না। আর একইসাথে তার অস্থায়ী চাকরিও স্থায়ী হওয়ার তিনি খবর পান। তিনি বলেন, এটি কেবলমাত্র চাঁদা দেয়ার বরকতেই হয়েছে।

    রোমানিয়ার একজন রোমানিয়ান আহমদী, যিনি দর্জির কাজ করেন, চাঁদা প্রদানের ক্ষেত্রে খুবই একনিষ্ঠ। চাঁদাও খুব সম্মানের সাথে দেন, সবসময় কোন সাদা খাম বা সাদা কাগজে মুড়িয়ে চাঁদার টাকা দেন। তিনি হুযূরের কাছে চিঠিতে লিখেন, আল্লাহ্‌র কৃপায় আমার চাঁদা দেয়ার সৌভাগ্য হয়, আর এ কারণে আল্লাহ্ তা’লা সবসময় আমার গ্রাহক বৃদ্ধি করে দেন আর বেশি আয়ের ব্যবস্থা করে দেন। একদিকে আমি আল্লাহ্‌র পথে খরচের জন্য পকেট থেকে টাকা বের করি, সাথে সাথেই আল্লাহ্ তা’লা আমার পকেট আরও ভরে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেন।’ এটি হল তার নিষ্ঠা ও বিশ্বাস আর তার প্রতি আল্লাহ্‌র দয়া।

    কানাডায় ১২ বছরের এক স্কুলছাত্রী স্কুল থেকে পুরস্কার হিসেবে ৮০ ডলার পায়। সে এটি দিয়ে তার শখের কিছু কেনার ইচ্ছা রাখত, কিন্তু ওয়াকফে জাদীদের চাঁদার তাহরিক শুনে সে তা চাঁদা হিসেবে দিয়ে দেয়। কয়েকদিন পর যখন আব্দুস সালাম বিজ্ঞান মেলা হয়, সেখানে সে প্রথম স্থান অধিকার করে এবং ৩০০ ডলার পুরস্কার পায়। এভাবে আল্লাহ্ তা’লা এই ছোট্ট শিশুকেও কয়েকগুণ বাড়িয়ে প্রতিদান দেন যা তার বিশ্বাসকে দৃঢ় করে। এরকম অজস্র ঘটনা রয়েছে, যা উন্নত বিশ্ব থেকে শুরু করে আফ্রিকা-এশিয়াসহ সারা পৃথিবীতেই ঘটছে, আর এই যুগেই ঘটছে।

    হুযূর (আই.) বলেন, আহমদীয়াতের বিরোধীদের বিবেক-বুদ্ধি যদি নষ্ট হয়ে গিয়ে না থাকে, তবে এসব ঘটনাই তাদের দৃষ্টি উম্মোচনের জন্য যথেষ্ট হওয়ার কথা। কেননা শুধুমাত্র ধর্মের খাতিরে এরূপ নিষ্ঠার সাথে আর্থিক কুরবানী করার এবং হাতেনাতে এমন ফলাফল লাভের উদাহরণ কেবল এই জামাতেই দেখতে পাওয়া যায়। আর মানুষের মধ্যে ধর্মের প্রতি এরূপ ভালোবাসা কেবল আল্লাহ্ তা’লাই সৃষ্টি করতে পারেন। এটি হযরত মসীহ্ মওউদ (আ.)-এর সত্যতার এক সুস্পষ্ট নিদর্শন। আমাদের কাজ হল, নিজেদের সংশোধন করা, আল্লাহ্‌র প্রতি বিনত হওয়া, তবলীগ ও কুরবানীর প্রতি অধিক মনোযোগ দেয়া এবং ইসলামের সত্যতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা।

    এরপর হুযূর ওয়াকফে জাদীদের ৬১তম বছর, যা গত ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হয়েছে, তার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এ বছর ওয়াক্‌ফে জাদীদ খাতে পুরো বিশ্বে ৯১ লক্ষ ৩৪ হাজার পাউন্ড চাঁদা সংগ্রহ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২ লক্ষ ৭১ হাজার পাউন্ড বেশি। মোট চাঁদা সংগ্রহের দিক থেকে বরাবরের মতই পাকিস্তান প্রথম স্থানে রয়েছে। এছাড়া বর্হিবিশ্বের শীর্ষ দশটি দেশ হল যথাক্রমে, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, আমেরিকা, কানাডা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ, ঘানা এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশ। মাথাপিছু চাঁদা প্রদানের দিক থেকে ১ম আমেরিকা, ২য় সুইজারল্যান্ড, ৩য় অস্ট্রেলিয়া। এ বছর ১৭ লাখ ৩২ হাজার আহমদী ওয়াক্‌ফে জাদীদের চাঁদায় অংশ নিয়েছেন, বিগত বছরের তুলনায় ১ লাখ ২৩ হাজার নতুন সদস্য এতে অংশ নিয়েছেন।

    হুযূর দোয়া করেন, আল্লাহ্ তা’লা ওয়াক্‌ফে জাদীদের চাঁদার খাতে অংশগ্রহণকারী সবার ধন-সম্পদ ও জনবলে সমৃদ্ধি দান করুন, আর ভবিষ্যতে তাদেরকে আরো উন্নত মানের কুরবানী করার তৌফিক দিন, আমীন।

  • পুর্নাঙ্গ অনুবাদ
বিষয়ঃ
শেয়ার করুনঃ
অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক খুতবা